এই যে চোরের দল দেখছেন। এরাও শেখ হাসিনাকে ৯/৬ বুঝিয়ে নিজেদের আখের গুটিয়ে নিল। শেখের বেটি বুঝতেও পারলো না। আরে ভাই যে যত বড় বড় বুড়ি আওরাক আওরাতে দিন। এদের গায়ের ছাল বাকলা এ দেশের আসল মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরাই একদিন তুলে নেবে।
এই যে চোরের দল লাল বই নীল বই সবুজ বইয়ের নামে দেশবাসীকে, শেখ হাসিনাকে এবং
আসল মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে প্রতারনা করে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে
কলঙ্কিত করলো, তার কোন বিচার হবে না। হয় না। এ সমাজে যত চুপ থাকা যায় ততই
নিরাপদ। যত মিথ্যা ভাষনের সাথে হাত তালি দেয়া যায় ততই সংগতি আর সংহতি
শান্তি প্রশান্তি । পবিত্র রোজার মাসে রোজা রেখেই তোদের অভিশাপ দিলাম-
আল্লাহর গজব নাজিল হবে একদিন। সেদিন হয়তো থাকবো না।
সরকার এর নির্দেশেই ২০১২ তে আমাকে যুদ্ধ অপরাধীর ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় সাক্ষী হিসাবে দাঁড়াতে হয়েছিল। সাহসিকতার সাথে সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতে হয়েছিল ১৯৭১ এ ঘটে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলখানার গণহত্যার সম্পুর্ন ইতিহাস। আর, ওই গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া ৫ জনের মধ্যে আমিও একজন। হত্যা করা হয়েছিল একসাথে ৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে।
কিন্তু, এই সাক্ষীর কারণে আমার নিরপরাধ ছোটো ভাই "মিরাজ" হত্যা হয়ে যাবে এ আমি কখনওই বিশ্বাস করতে পারিনি। সরকারের কাছে বিচার চেয়েছি, বিচার পাইনি।
আমি এখন ২৪ ঘন্টা পুলিশ পাহারায় গৃহবন্দী থাকি, একমাত্র সন্তানকে নিয়ে। এ এক অভূতপূর্ব করুণ অধ্যায়।
একটি ঘরে ৬ বছর গৃহবন্দি থাকতে থাকতে আমি আজ উল্লেখযোগ্য ভাবে অসুস্থ। আমার হার্টে ৮ টা ব্লক ধরা পড়েছে, এবং Bypass Surgery ছাড়া চিকিৎসা সম্ভব না।
"এরই মাঝে কাউকে না জানিয়ে আমি "ইব্রাহিম কার্ডিয়াক" এ CCU তে চারদিন ভর্তি ছিলাম"
প্রিয়বন্ধুরা,
আগামী ১০ দিনের মধ্যে আমি আমার হার্টের Bypass Surgery করাতে প্রস্তুত রয়েছি।
কোনো সরকারী সাহায্য বা শিল্পী, বন্ধু বান্ধব সাহায্য আমার দরকার নাই, আমি একাই যথেষ্ট (শুধু অপারেশন এর পূর্বে ১০ সেকেন্ড এর জন্য বুকের মাঝে বাংলাদেশ এর পতাকা এবং কোরানশরিফ রাখতে চাই)
আর, তোমরা আমার জন্যে শুধু দোয়া করবে। কোনো ভয় নাই।
তোমাদের,
আ,ই,বুলবুল।
বি:দ্র: এই পোস্ট এর আমি কোনো কমেন্ট এর রিপ্লাই দিবো না।